অভিভাবকগণের সমীপে কিছু কথা:
প্রিয় মুসলিম অভিভাবকবৃন্দ! নীতি নৈতিকতার অবক্ষয় আজ আপনাদের সামনে সুস্পষ্ট। ধর্মীয় মূল্যবোধ আর ইসলামী অনূভুতি বিলুপ্তির শেষ স্তরে পৌঁছে গেছে। এমনকি মনুষ্যত্ব বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পিতা-মাতার প্রতি সদাচর, বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, দায়িত্ববোধ, ভদ্রতা ও ইনসাফ বলে কিছুই অবশিষ্ট নেই। ফলে রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার, এমনকি ব্যক্তি, প্রতিটা ক্ষেত্রেই শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। বিরাজ করছে অস্থিরতা, বিষন্নতা ও ব্যর্থতা। অন্যায়, অশ্লীলতা ও জীবননাশক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে যুবক শ্রেণী, এমনকি কোমলমতি শিশুরাও। ফলে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সমাজ ও জাতি তাদের সম্ভাবনাগুলো হারাচ্ছে। এমনকি আপনিও বঞ্চিত হচ্ছেন নিজের ন্যূনতম অধিকার থেকে। সন্তানের অবাধ্যতায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে আপনার জীবন। এই ক্ষতি শুধু আপনার আখেরাতকে ধ্বংস করছে না, বরং আপনার দুনিয়াকেও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী প্রজন্মের ধ্বংস অনিবার্য। এই মহাবিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ইসলামী কৃষ্টি কালচার ও আদর্শের চর্চা খুবই জরুরী। ইসলামী সভ্যতার বিনির্মাণ প্রয়োজন। সময়ের এই প্রয়োজন পূরণের সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহন করে আপনিও হতে পারেন জাতি ও সমাজের একজন কল্যাণকামী ব্যক্তিত্ব।
অভিভাবকগণের নিকট কাম্য:
প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় নিয়ম-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।
নিজের সন্তানের প্রতি পূর্ণ সচেতন ও আন্তরিক হবেন।
আপন সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও আদর্শ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়ার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানের প্রতি কল্যাণকামী হবেন, শিক্ষকগণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন এবং যাবতীয় নিয়ম-কানুন পালনে সর্বোচ্চ যত্নবান ও সহযোগী হবেন।
প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত যে কোন ধরনের পরামর্শ বা অভিযোগ-আপত্তি সম্পর্কে সরাসরি প্রিন্সিপালকে অবহিত করবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই অভিভাবকগণ মার্জিত আচরন, শ্রদ্ধাপূর্ণ উচ্চারণের প্রতি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবেন। অন্য কোন শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা শিক্ষক সহ এমন কোথাও আলোচনা না করা যেখানে কোন ফলাফল আসবে না।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যে কোন ধরনের নিমন্ত্রণ সাদরে গ্রহন করবেন এবং অভিভাবক সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।