মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আপনি নিজের পরকালের মুক্তি ও সফলতার আশা করেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা কিভাবে অর্জন হবে সেটা আপনাদের নিকট খুবই কঠিন মনে হয়! আসলে তা এতটা জটিল নয়। আপনার কোমলমতি শিশুকে দ্বীনী শিক্ষা প্রদান করার মধ্যমে আখেরাতের জীবনকে স্বার্থক করতে পারেন। তবে কি পার্থিব জীবনের সংকীর্ণতা নিয়ে ভাবছেন! হতাশ ও চিন্তাগ্রস্ত হচ্ছেন? না, তা কখনোই নয়। কেননা দ্বীনী শিক্ষার মাধ্যমে জাগতিক জ্ঞানও অর্জন হয়, যার দ্বারা পার্থিব প্রয়োজন পূর্ণ হয়, (যদিও তা কখনই উদ্দেশ্য নয়)। আর আল্লাহ আপনাকে বঞ্চিত করবেন না। দেখুন তিনি আপনার জন্য কুরআনুল কারীমে বলেছেন- অর্থ: যে ব্যক্তি আখেরাতের ফসল কামনা করে, তার জন্য আমি তার ফসল বাড়িয়ে দেই। আর যে ব্যক্তি (কেবল) দুনিয়ার ফসল কামনা করে,
তাকে আমি তা থেকেই অল্পকিছুই দান করি। কিন্তু আখেরাতে তার জন্য কিছুই থাকবে না। (আশ্-শূরা: ২০)
আপনার স্নেহ, মায়া-মমতা যতোই গভীর হোক না কেন ইসলামের মৌলিক শিক্ষা সন্তানের মাঝে না থাকলে তা কখনোই ফলপ্রসূ হবে না। যতোই সজাগ দৃষ্টি রাখুন আর সতর্কতা অবলম্বন করুন না কেন সবকিছুই ব্যর্থ হবে, যদি আপনার সন্তান ইসলামী আদর্শের উপর অভ্যস্ত না হয়। তাই আপনার সন্তানকে দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। আর জেনে রাখুন! বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে সমাজ যতই উন্নতি লাভ করুক না কেন, ঈমান ও আল্লাহভীতি না থাকলে তা মানুষের ক্ষতি ও অকল্যাণেই ব্যবহৃত হবে। মানুষের সকল আবিষ্কার অর্থহীন ও ক্ষতির কারণ হবে। তাই জাতি ও সমাজের উন্নতির জন্যই অপরিহার্য প্রয়োজন ইলমে ওহীর চর্চা।
অতএব দুনিয়ার সংকীর্ণতার কথা না ভেবে আল্লাহর উপর ভরসা করে সন্তানকে দ্বীনী শিক্ষা দিন এবং উভয় জগতের কল্যাণ অর্জনে প্রতিযোগিতা করুন। আল্লাহ আপনাকে সৎ সাহস, দৃঢ় মনোবল ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার তৌফিক দান করুন, আমীন।